History of the College
নদীবেষ্টিত ছায়াঘেরা সুনিবিড় আড়িয়াল খাঁ-জয়ন্তী-নয়াভাঙ্গনী নদীর পলি অববাহিকায় মুলাদী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মুলাদী সরকারি কলেজ স্বাধীনতার পূর্বকালীন সময় থেকে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে জ্ঞান-বিদ্যার আলো বিকশিত করে এসেছে।বরিশাল জেলার উত্তরে দ্বীপাঞ্চল নামে খ্যাত এই উপজেলা অনেক সংগ্রামী মানুষের পূন্য স্মৃতি বিজড়িত।শিক্ষা প্রসারের লক্ষে এলাকার জ্ঞানী-গুণী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে কলেজটির বর্তমান অবস্থান থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্বদিকে নয়াভাঙ্গনী নদীর পাদদেশে নিরিবিলি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ১৯৭০ সালের ০১ জানুয়ারি কলেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এক দশক পার না হতেই ১৯৭৯ সালে নয়াভাঙ্গনী নদীর করাল গ্রাসে কলেজটি বিলিন হয়ে গেলেঅদম্য মুলাদীবাসীর প্রচেষ্টায় বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়।
মুলাদী সরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বি.এম শাখা, স্নাতক(পাস) এবং চারটি বিষয়ে স্নাতক(সম্মান) শ্রেণিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।কলেজটিতে প্রায় ৩৮০০ জনছাত্র-ছাত্রীঅধ্যয়ন করে চলেছে।বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করেন।কলেজটিতে বর্তমানে ৪৫ জন শিক্ষক ০৪ জন অফিস স্টাফ ১৩ জন অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন।দুইটি তিনতলা, একটি চারতলা, দুইটি দোতালা ভবন, শহিদ মিনার, পুকুর ও খেলার মাঠমিলে ক্যাম্পাসটি অনন্য বৈশিষ্ট্যতায় আসীন হয়েছে।
অভ্যন্তরীন, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা, বিজ্ঞান মেলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও কর্মসূচীতে কলেজ অংশগ্রহণ করে পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে অত্রাঞ্চলের মানুষের মধ্যে এসেছে চাঞ্চল্যতা। যাদের কর্ম প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানটি আজ মহিরুহে পরিনত হয়েছে তাদের অনেকেই ইহধামে না থাকলেও তারা সকলের মাঝে বেচেঁ থাকবে যুগ যুগান্তর।